পিশাচিনী মুক্তি যজ্ঞ ও জীবিত স্ত্রীর পিন্ডদান

অখিল ভারতীয় পুরুষ অধিকার সম্মেলনের জন্য প্রায় ১৬০ জন একত্রিত হয়েছিল হোটেল হিন্দুস্থান ইন্টারন্যাশনাল, বারানসিতে । ভারতবর্ষের এই সর্ববৃহৎ পুরুষ অধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৩-১৫ আগস্ট ২০১৮, পূণ‍্য সলিলা গঙ্গার ধারে ।

https://m.dw.com/hi/पुरुषों-का-उत्पीड़न-रोकने-के-लिए-पिंडदान/a-45121718?

সম্মেলন চলাকালীন পিশাচিনী মুক্তি যজ্ঞ ও জীবিত স্রীর পিন্ডদান আয়োজন করা হয়েছিল।

কথিত আছে যে সমুদ্র মন্থনের সময়, দেবাদিদেব মহাদেব জগতের সকল হলাহল পান করে কণ্ঠে ধারণ করেছিলন জগতকে বাঁচাবার জন্য।

আজ পিশাচিনী রূপে নারীবাদ সমাজ, সংসার ও পুরুষের জীবন ধ্বংস করতে বসেছে । বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা আসছে নারীবাদকে পুষ্ট করার জন্য। নারীবাদী এই হুতাশন পরিবার ও সমগ্র সমাজব্যবস্থাকে গ্রাস করতে চলেছে ।পুরুষের সামান্য রোদন শোনার জন্য আজ কেউ প্রস্তুত নয়।

অসহায় হয়ে তাই দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে এইসব পুরুষেরা প্রার্থনা করেছিল যে তিনি যেন এই নারীবাদ নামক গড়ল আত্মসাৎ করেন এবং জগৎকে রক্ষা করেন।

বর্তমানে ভারতবর্ষে বিবাহিত পুরুষের আত্মহননের সংখ্যা বিবাহিত স্ত্রীর আত্মহত্যার দ্বিগুণ।

আজ সমাজ, আদালত নিষ্পাপ পুরুষদের পাশে না দাঁড়িয়ে এসব পিশাচিনী রমণীদেরই সাহায্য করে। শত দোষ করে এই সব রমণীদের কোন শাস্তি হয় না। আজ সব দায় পুরুষের কিন্তু নারী আজ মুক্ত তার কোন দায় নেই।

তাই আত্মহনন ছাড়া পুরুষের কাছে আর কোন রাস্তা খোলা নেই। ঈশ্বরই তাদের একমাত্র সহায় । তাই পুরুষেরা পিশাচিনীদের থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য যজ্ঞের আয়োজন করেছিল।

মণিকর্ণিকা ঘাট বারানসির অত্যন্ত প্রবিত্ত শ্মশান ঘাট। দূর দুরান্ত থেকে লোকেরা আসে তাদের আত্মীয়বর্গের এখানে অন্তেষ্টি করতে যাতে তারা মোক্ষ লাভ করে।

বর্তমানে ভারতীয় পুরুষ তাদের স্ত্রী দের দ্বারা অত্যাচারিত হচ্ছে। নারীবাদী ও লিঙ্গ বৈষম্য আইন ব্যবহার করে তারা তাদের স্বামীর জীবন অতিষ্ঠ করে দিচ্ছে। স্বামীর সাথে স্বামীর পরিবারের লোকেরাও অতিষ্ঠ হচ্ছে। বৃদ্ধ শশুর, শাশুড়ি, অবিবাহিত ননদকে বিনা দোষে জেলে পাঠাতে এরা কুণ্ঠাবোধ করে না , বিবেকেও লাগে না।

তাছাড়া এই সব মহিলারা তাদের স্বামী কে এ.টি.এম. ছাড়া মানুষ বলে মনে করে না। প্রয়োজনে তারা স্বামী কে খুন করতেও কুণ্ঠাবোধ করে না।কিছুদিন আগে পশ্চিমবাংলায় একের পর এক স্বামী হত্যার লীলা আমরা দেখতে পাই। স্বামী হত্যাকারী, ব্যভিচারী, স্বেচ্ছাচারী এই সব মহিলাদের শহর ও গ্রামাঞ্চল নির্বিশেষে পাওয়া যায়।

প্রতিবছর পশ্চিমবাংলায় কুড়ি হাজার ৪৯৮ এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয় যার ১৪ আনাই মিথ্যা।

একদা বঙ্গ রমনিদের আদর্শ ছিল সীতা ও সাবিত্রী। কথিত আছে সাবিত্রী তার মৃত স্বামীকেও যমরাজের কাছ থেকে উদ্ধার করে।

আজ পাশ্চাত্য শিক্ষার গর্বে, নারীবাদে দীক্ষিত হয়ে মহিলারা সংসারের ত্রাসে পরিণত হয়েছে। উড়নচন্ডী, অক্লষ্টকর্মা এইসব রমণী পাল্লায় পড়ে প্রাণ অব্দি হারাতে বসেছে।

এসব থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ঘরের গৃহিণী আজ পিশাচিনী রূপে পরিণত হয়েছে। তাই এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী পুরুষেরা জীবিত স্ত্রীর পিন্ডদান এই মণিকর্ণিকা ঘাটে সম্পন্ন করে।

এই ঘটনা দেশে ও বিদেশে উত্তোলন সৃষ্টি করেছে। দেশি ও বিদেশি সংবাদপত্রে এ নিয়ে চর্চা হচ্ছে।

http://www.sangbadpratidin.in/offbeat/men-perform-last-rite-of-marriage-to-protest-feminism/

https://ebela.in/offbeat/150-men-did-the-final-rites-of-their-living-wives-in-varanasi-dgtl-1.854221

https://m.eisamay.com/nation/men-throng-to-perform-last-rites-of-their-married-life-at-varanasi/articleshow/65580717.cms?

নারীবাদীরা এর ঘোর সমালোচনা করেছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে নারী মাত্রই সর্ব দণ্ডের ঊর্ধ্বে নয়। রামায়ণে প্রয়োজনে রাম-লক্ষণ ভাতৃদ্বয় তারকা রাক্ষসীকে বধ করেছিল । সমাজে নিশ্চয়ই নারীর সম্মান হওয়া উচিত কিন্তু পিশাচিনী রুপি নারীদের দণ্ড দেওয়া উচিত।

আশা করি সমাজের চোখ উন্মেষ হবে এবং পুরুষদের অধিকার নিয়ে সমাজ সরব হবে ।

About Amartya Talukdar

About: AMARTYA TALUKDAR was born in Kolkata, India. He has done his Masters in Mechanical Engineering from Indian Institute of Technology Benaras Hindu University. He is an avid blogger, computer geek , humanist , rationalist .
This entry was posted in বাংলা, Feminism and tagged , , , , , . Bookmark the permalink.

Leave a comment