পরকীয়া আর কোনো ফৌজদারী অপরাধ নয়- সুপ্রীম কোর্টের রায়

পরকীয়ার কোনও ফৌজদারী অপরাধ নয়। এমনটাই রায় দিয়েছে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট।

নারীবাদের দ্বারা বিবাহ নামক জিনিস কে ধ্বংস করার এ আর এক ধাপ। এর পরে আসবে বৈবাহিক ধর্ষণ। ব্যাস তাহলেই কিস্তিমাত। বিদেশের মত ভারতবর্ষে বিবাহ নামক জিনিসটি অবলুপ্ত হয়ে যাবে ।

কি ভেবে মাননীয় বিচারপতিরা এই ধরনের অদ্ভুত রায় দিলেন তা চিন্তার বিষয়।

এই রায়ের ফলে কিন্তু ভারতবর্ষে বিবাহ ব্যবস্থা জোরদার ধাক্কা খাবে।

সংসদ থেকে আইন প্রণয়ন না করে নারীবাদীরা শীর্ষ আদালত কে বেছে নিয়েছে ভারতবর্ষের উপর নারীবাদী ভাবধারা চাপিয়ে দিতে।

নানা এনজিও তৈরি হয়েছে যাদের বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। এইসব এনজিওদের দিয়ে একটা করে জনস্বার্থ মামলা কর ,জজদের নানাভাবে সম্মোহিত করো আর নারীবাদী আইন দেশে লাগু কর। এমনটাই বেছে নিয়েছেন নারীবাদীরা এবং তাদের পিছনের বিদেশী শক্তিরা । এইসব নারীবাদী সিদ্ধান্তকে সমর্থন করার জন্য পাবলিক রিলেশন এজেন্সি দিয়ে দেশের সংবাদমাধ্যমে মনোমত খবর ছাপাও। দরকার পরলে রাস্তায় কিছু ক্রয় করা লোকদের দিয়ে মিছিল-মিটিং কর ও দেশে নারীবাদী আইন চালু কর। দেশের সাধারণ লোকে কি মনে করলো তাদের তাদের বয়েই গেছে।

এই রায়ের ফলে স্বামীর সামনে স্ত্রী নির্ভয়ে ব্যভিচারে লিপ্ত হতে পারবে , কারণ তা এখন বৈধ। স্বামীর দেখা ছাড়া ও নিরবে রোদন করা ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না। বিবাহ বিচ্ছেদ করাও চারটিখানি কথা নয় স্বামীর জন্য কারণ সেক্ষেত্রে তাকে ব্যভিচারী, পরকীয়ায় লিপ্ত স্ত্রীকে মোটা টাকার খোরপোষ দিতে হবে। স্ত্রী পাল্টা তার বিরুদ্ধে ৪৯৮এ সহ নানা ফৌজদারি ধারায় নালিশ করতে পারে যার ফলে স্বামীর জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে পারে । সেই ভয়ে স্বামীরা বিবাহবিচ্ছেদের রাস্তা সহজেই নেবেন না।

কিন্তু স্বামী যদি পরকীয়ায় লিপ্ত হয় তাহলে মহিলা ভারতীয় দন্ড বিধান এর ৪৯৮এ সহ একাধিক ধারার সাহায্য নিতে পারবে ও নিষ্ঠুরতার অভিযোগ আনতে পারবে।

দেশের জারজ সন্তানদের সংখ্যা বেড়ে যাবে। পুরুষের বিবাহ করতে চাইবে না। ছেলে মেয়ে আর হবে না ফলে জনসংখ্যার সংকোচন ঘটবে। এই রিক্ত স্থান পূর্ণ করার জন্য বিদেশ থেকে লোকেরা দেশে অনুপ্রবেশ করবে এবং আমাদের দেশ ক্রমেই ধ্বংস হবে।

দেশকে বহিরাগত আক্রমণ না করে ভেতর থেকে ধ্বংস করা এটা একটা ষড়যন্ত্র। তাই দেশবাসী জাগ্রত হন। এই রায়ের বিরুদ্ধে সরব হন।

এই রায় আনন্দে ফেটে পড়ছে মনুয়ার পরকীয়া প্রেমিক ও পতিহন্তা এবং দেশ দ্রোহীরা ।

About Amartya Talukdar

About: AMARTYA TALUKDAR was born in Kolkata, India. He has done his Masters in Mechanical Engineering from Indian Institute of Technology Benaras Hindu University. He is an avid blogger, computer geek , humanist , rationalist .
This entry was posted in বাংলা, Feminism, Laws and tagged , , . Bookmark the permalink.

Leave a comment