ভারতে জাতীয় পুরুষ কমিশন স্থাপন নিয়ে প্রথম সম্মেলন

২৩ শে সেপ্টেম্বর ২০১৪, দিল্লির রাফি মার্গে অবস্থিত কনস্টিটিউশন ক্লাবে ভারতে জাতীয় পুরুষ কমিশন নিয়ে প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তব্য রাখেন সাংসদ হরিনারায়ণ রাজভড়, সাংসদ অন্শুল ভার্মা ও অভিনেত্রী পূজা বেদি এবং আরো বিশেষ ব্যক্তিরা ।

বক্তারা বিশ্বাস করেন যে লিঙ্গ বিচারের জন্য জাতীয় পুরুষ কমিশন তৈরি করার বিশেষ প্রয়োজন আছে।

সাংসদ অন্শুল ভার্মা মনে করেন যে মহিলাদের হিতে কিছু করতে গেলে তা পুরুষ বিরোধী হতে হবে এমনটা মোটেই নয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত পূজা বেদি, বলেন, জাতীয় পুরুষ কমিশনের বিতর্কটি নারী ও পুরুষের মধ্যে বিতর্কের থেকে দূর রাখা উচিত । তিনি বলেন, সমাজে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার জন্য পুরুষদের কণ্ঠস্বরকে জোরালো করতে হবে। সমাজে লিঙ্গ বৈষম্য তখনই দূর হবে যখন পুরুষ বা নারীরা একে অপরকে ভয় করবে না ।

শ্রী রাজবভর বলেন, যে পুরুষদের অধিকারের আন্দোলন থেকে তিনি নিজেকে কখনোই প্রত্যাহার করবেন না। সংসদের গত মৌসুমী অধিবেশনে, তারা একটি পুরুষ কমিশনের গঠনের জন্য বিল আনিয়েছিলেন এবং সাংসদের আগামী শীতকালীন অধিবেশনে, পুরুষ কমিশনের সমর্থনে তিনি একটা ব্যক্তিগত সদস্যদের বিল আনবেন ।

অনেকের প্রশ্ন পুরুষ কমিশন কেন চাই? নিম্নে কিছু কারণ দেওয়া হল:-

  • পুরুষদের আত্মহত্যার হার মহিলাদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন।
  • একই অপরাধে মহিলা চেয়ে পুরুষের কমপক্ষে ৬০% বেশি শাস্তি হয়।
  • ৪০% পুরুষরা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হন। তবে পুরুষের পক্ষে এ সম্পর্কে ন্যায়বিচার পেতে কোনও বিধান নেই।
  • পুরুষের মৃত্যুর হার নারী তুলনায় অনেক বেশী।
  • ভারতে একজন মহিলা গড় আয়ু ৬৭.৫ বছর, কিন্তু একজন পুরুষের বয়স মাত্র ৬৩.৫ বছর।
  • গত চার দশকে, ভারতীয় পুরুষের গড় আয়ু ১৫ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং একজন মহিলার বয়স ১৪ বছর বেড়েছে।
  • ৮০% গৃহহারারা পুরুষ।

২০০৭ সালের মহিলা কমিশনের একটি সমীক্ষা বলে:-

  • মেয়েরা তুলনায় অনেক বেশি ছেলেরা আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত।
  • মেয়েরা তুলনায় আরো ছেলেদের রাস্তায় থাকে।
  • ছেলেরা যে কোন প্রতিষ্ঠানের মেয়েদের চেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়।
  • মেয়েদের চেয়ে বেশি ছেলেমেয়ে যৌন হয়রানি শিকার হয়।

বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে সংসারের চাপ সামলাতে এবং তার আর্থিক দ্বায় বহন করতে বহু ছেলে স্কুল ছাড়া হচ্ছে। তাদের সংখ্যা মেয়েদের চেয়ে অনেক বেশি।

পুরুষ মানুষ দেশের ৮০ ভাগ কর দিলেও তাদের হিতাহিত দেখার মত কোন সরকারি সংস্থা নেই।

তাই অবিলম্বে আমাদের জাতীয় পুরুষ কমিশনের স্থাপন করার এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা উচিত।

About Amartya Talukdar

About: AMARTYA TALUKDAR was born in Kolkata, India. He has done his Masters in Mechanical Engineering from Indian Institute of Technology Benaras Hindu University. He is an avid blogger, computer geek , humanist , rationalist .
This entry was posted in বাংলা, Laws, Men's Commission. Bookmark the permalink.

Leave a comment